মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গেবিন্দগঞ্জে স্বামীর ওপর অভিমান করে জরিনা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে জরিনার বাবার দাবি-তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের ধুন্দিয়া গ্রামের জহুর হোসেনের ছেলে বেলাল হোসেন প্রায় ১০ বছর আগে নাকাই ইউনিয়নের ডুমুরগাছা গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে জরিনা বেগমকে বিয়ে করে। সাংসারিক জীবনে তাদের ৩টি সন্তান রয়েছে। বেলাল হোসেন ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মচারি হিসেবে কাজ করে। এ কারণে বেলালকে বেশির ভাগ সময় ঢাকাতেই থাকতে হয়। বেশ কিছুু দিন থেকে জরিনা তার স্বামীর সাথে ঢাকায় গিয়ে থাকতে চায়। কিন্তু বেলাল তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে অসম্মতি জানালে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মোবাইলে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই স্বামীর ওপর অভিমান করে গতকাল দুপুরে পরিবারের সকলের অজান্তে জরিনা তার শয়ন ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে গোবিন্দগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় জরিনার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। হরিরামপুর ইউপি মেম্বার আব্দুর রশিদ গৃহবধূ জরিনার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ইকবাল পাশা জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে এবং জরিনার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ দিকে, জরিনার বাবা আব্দুল জলিল দাবি করেন- বেলালের পরিবারের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের বাঁশের তিরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে হত্যার ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আত্নহত্যা বলে প্রচার করে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি তিনি জোর দাবি জানান।